📖 ইসলাম কী বলে অন্যায় ও শাস্তি সম্পর্কে?

📖 ইসলাম কী বলে অন্যায় ও শাস্তি সম্পর্কে?

১️⃣ ন্যায়বিচারের দায়িত্ব কার?"কেউ অন্যায় করলে, যে কেউ কি তাকে শাস্তি দিতে পারবে? ইসলাম এ বিষয়ে কী বলে?"

ইসলামে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব কেবল বিচারক/হাকিম/রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের। সাধারণ ব্যক্তি কারো প্রতি শাস্তি প্রয়োগ করতে পারে না।

🔹 আল্লাহ বলেন (সূরা আন-নিসা ৫৮):

"নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দেন, যে আমানত তোমরা যথাযথভাবে আদায় করবে এবং মানুষদের মধ্যে যখন বিচার করবে, তখন ন্যায়ের সঙ্গে করবে।"

২️⃣ কেউ অন্যায় দেখলে সাধারণ মানুষ কী করতে পারে?

🔹 হাদীসে রাসূল ﷺ বলেন:

"তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অন্যায় কাজ হতে দেখে, তবে সে যেন তা হাতে প্রতিরোধ করে, যদি সে না পারে, তাহলে মুখে বলুক, আর তাও যদি না পারে, তবে মন থেকে ঘৃণা করুক — আর এটা হল ঈমানের সবচেয়ে দুর্বল স্তর।"
📚 (মুসলিম, হাদিস ৪৯)

🟢 এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয় — “হাতে প্রতিরোধ” করার অধিকার শুধুমাত্র কর্তৃপক্ষ/রাষ্ট্রের

৩️⃣ ইসলামে প্রতিশোধ নেওয়ার নিয়ম?

🔸 ব্যক্তিগত প্রতিশোধকে ইসলাম উৎসাহ দেয় না। বরং ইসলাম চায় আইনের মাধ্যমে বিচার হোক।

📚 কুরআন (সূরা শূরা ৪০):

"অপরাধের প্রতিদান অপরাধের সমানই হয়। কিন্তু যে ক্ষমা করে এবং মীমাংসা করে, তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে রয়েছে।"


সারাংশ:

  • ✔️ কেউ অন্যায় করলে, তাকে শাস্তি দেওয়ার অধিকার সাধারণ মানুষের নেই

  • ✔️ ন্যায়ের জন্য অবশ্যই ইসলামি বিচারব্যবস্থা/রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হতে হবে

  • ✔️ নিজে প্রতিশোধ না নিয়ে আইনের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে হবে

  • ✔️ সামর্থ্য অনুযায়ী অন্যায় প্রতিরোধ করা (শান্তিপূর্ণভাবে), নসিহত করা — এটা ইসলামে উৎসাহিত

  • ❌ নিজের হাতে বিচার বা শাস্তি দেওয়া ইসলাম সমর্থন করে না

No comments

Theme images by dfli. Powered by Blogger.