ন্যায় ও ইনসাফের অনন্য দৃষ্টান্ত – উমাইয়া খলিফা ওমর বিন আবদুল আজিজ (রহ.)

ইতিহাসে যেসব শাসক ন্যায় ও ইনসাফের মাইলফলক স্থাপন করেছেন উমাইয়া খলিফা ওমর বিন আবদুল আজিজ (রহ.)

🔹 বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

প্রিয় দর্শক, আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
ইতিহাসে যেসব শাসক ন্যায় ও ইনসাফের মাইলফলক স্থাপন করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন উমাইয়া খলিফা ওমর বিন আবদুল আজিজ (রহ.)
তাঁকে বলা হয় "দ্বিতীয় ওমর", কারণ তিনি মাত্র দুই বছরের শাসনামলে ইসলামের সোনালি আদর্শ বাস্তবায়ন করেছিলেন।
আজকের ভিডিওতে আমরা জানবো তাঁর সুশাসন ও ন্যায়বিচারের বিস্ময়কর দৃষ্টান্ত।

🔹 চলুন শুরু করা যাক!


📌 প্রশাসনে যোগ্য ও ন্যায়পরায়ণ লোক নিয়োগ

🔹 ওমর বিন আবদুল আজিজ (রহ.) বুঝেছিলেন, সৎ প্রশাসক ছাড়া ন্যায় প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।

✅ তিনি প্রশাসনে নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনটি গুণকে প্রাধান্য দিতেন—

1️⃣ তাকওয়া ও আল্লাহভীতি
2️⃣ সততা ও আমানতদারিতা
3️⃣ ন্যায়বিচার ও সতর্কতা


👉 একদিন তিনি তাঁর নিরাপত্তা প্রধান খালিদ বিন রাইয়ানকে বরখাস্ত করে আমর বিন মুজিরকে নিয়োগ দেন
তিনি আমরকে বললেন, “আল্লাহর কসম! তোমার ও আমার মধ্যে ইসলাম ছাড়া আর কোনো সম্পর্ক নেই। কাজেই ন্যায়বিচার করো।”


📌 সরকারি সুযোগ-সুবিধায় কাটছাঁট

👉 খলিফা হওয়ার পর তাঁকে রাজকীয় বাহনে তুলে অভিষেকের জন্য আনা হয়।
✅ কিন্তু তিনি বললেন, “এটা রাজকোষের সম্পদ, জনগণের সম্পদ। আমি এটিতে আরোহণ করবো না।”
✅ তিনি তাঁর ব্যক্তিগত বাহনে চড়ে দরবারে যান এবং ব্যক্তিগত খরচের জন্য নিজের সম্পদ ব্যবহার করতেন

📜 তিনি বলতেন, “আমি নিজের জন্য রাজকোষ থেকে কিছু নিতে পারি না, কারণ এটি জনগণের অধিকার।”


📌 উপহার গ্রহণ নিষিদ্ধ ঘোষণা

📢 উপহার ছিল অনেক কর্মকর্তার জন্য ঘুষের সমতুল্য।
👉 তাই তিনি নিজে কোনো উপহার গ্রহণ করতেন না এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদেরও নিষেধ করেন।

একজন তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন—
🗣️ “রাসুল (সা.) তো উপহার গ্রহণ করতেন, তাহলে আপনি কেন নেন না?”

🔹 উত্তরে তিনি বললেন,
“হ্যাঁ, রাসুল (সা.) উপহার গ্রহণ করতেন, কিন্তু আমাদের জন্য এটি ঘুষ।”


📌 ব্যবসা থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরত রাখা

👉 তিনি ঘোষণা করেন,
“একজন প্রশাসক ব্যবসা করতে পারে না। যদি সে ব্যবসা করে, তবে সে জনগণের অধিকার লঙ্ঘন করবে।”

📜 প্রসিদ্ধ ইতিহাসবিদ ইবনে খালদুন (রহ.) তাঁর এই নীতিকে ন্যায়বিচারের অন্যতম ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।


📌 জনগণের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক

👉 আগের খলিফাদের সময় সাধারণ মানুষ শাসকের কাছে সহজে অভিযোগ জানাতে পারতো না।
✅ কিন্তু ওমর বিন আবদুল আজিজ (রহ.) দরবারের দরজা উন্মুক্ত করে দেন।
✅ তিনি জনগণের সমস্যা সমাধানকারীদের পুরস্কৃত করতেন।

📜 তিনি ঘোষণা দেন—
“যে ব্যক্তি কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবে, আমি তাকে পুরস্কৃত করবো।”

🎙️ [ড্রাম্যাটিক টোন]
👉 এভাবে তাঁর শাসনামলে সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার ফিরে পায়।


📌 রাষ্ট্রীয় সম্পদের সঠিক ব্যবহার

✅ পূর্বের শাসকদের সময় রাষ্ট্রীয় সম্পদ অপচয় হতো
✅ কিন্তু ওমর বিন আবদুল আজিজ (রহ.) ঘোষণা দেন,
“যে সম্পদ জনগণের, তা জনগণের কাছেই ফিরিয়ে দিতে হবে।”

🎬 [গ্রাফিক: ওমর (রহ.) রাজকোষের ব্যবহারের উদাহরণ]

📌 তিনি বেশ কিছু অবৈধ সম্পত্তি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফিরিয়ে আনেন।
📌 জাকাত ব্যবস্থা এত সুন্দরভাবে চালু করেন যে কোনো গরিব পাওয়ার মতো কাউকে খুঁজে পাওয়া যেত না!


📌 শেষ কথা


👉 মাত্র দুই বছরেই তিনি ইতিহাসের অন্যতম ন্যায়পরায়ণ শাসক হয়ে ওঠেন।
👉 তাঁর শাসনামলে সমাজে সুবিচার, শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসে

📢 আজকের সমাজেও যদি তাঁর মতো শাসক পাওয়া যেত, তাহলে পৃথিবী হয়ে উঠতো অন্যায়মুক্ত এক জান্নাত।



এই ভিডিওটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে লাইক, শেয়ার এবং সাবস্ক্রাইব করুন।
আপনার মতামত আমাদের কমেন্টে জানান!

📢 #ওমর_বিন_আবদুল_আজিজ #ইসলামিক_ইতিহাস #ন্যায়_ও_ইনসাফ








No comments

Theme images by dfli. Powered by Blogger.